রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
পদত্যাগ করবে জাপার মন্ত্রীরা, বিশেষ দূত থাকব না: এরশাদ

পদত্যাগ করবে জাপার মন্ত্রীরা, বিশেষ দূত থাকব না: এরশাদ

মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির সদস্যরা কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্বও ছেড়ে দেবেন তিনি। আমরা সরকার না বিরোধী দলে- জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের এমন প্রশ্ন তোলার তিন দিন পর শুক্রবার রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এরশাদ। এ সময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন। গত মঙ্গলবার সংসদে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আসলে সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে- কেউ এমন প্রশ্ন রাখলে এর সদুত্তর দিতে পারি না। ফলে জাপা তার প্রাপ্য সম্মানের জায়গায় নেই।’ সরকারে থাকা জাপার মন্ত্রীদের কারণে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় কাজ করতে পারছি না।…‘সরকারে থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের সরিয়ে দিন। সরকারে থাকা বিরোধী দলের মন্ত্রীদের বাদ দিলে জাপা বেঁচে যেত। হয় কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে নিন, নইলে সবাইকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে নিন।’ বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের নির্বাচনে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ভোটে যায় জাতীয় পার্টির একটি অংশ। তবে এরশাদের নেতৃত্বে একটি অংশ আবার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল যদিও এরশাদ নিজে নির্বাচিত হয়ে আসেন একটি আসনে। পরে জাতীয় পার্টির সদস্যরা রওশনকে তাদের সংসদীয় দলের প্রধান নির্বাচন করেন। এরশাদ প্রথমে শপথ নেবেন না জানিয়ে পরে শপথ নেন আর মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হন। আবার সংসদে বিরোধী দলে থাকলেও জাতীয় পার্টির একজন পূর্ণাঙ্গ এবং দুই জন প্রতিমন্ত্রী হন। আর জাতীয় পার্টির একই সঙ্গে বিরোধী দলে থাকা এবং সরকারে থাকা নিয়ে সমালোচনা আছে। এরশাদ নানা সময় তার দলের নেতারা মন্ত্রিসভা থেকে বের হয়ে আসবে বলে জানালেও শেষমেশ আর সেটা হয়নি। আজও সুনির্দিষ্ট কোনো সময় না জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির যে তিনজন মন্ত্রী আছেন, আমিও মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আছি। আমরা কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করব।’ ‘কারণ মন্ত্রিত্ব নিয়ে আমরা সমালোচনার মুখে পড়েছি। দেশের মানুষের কাছে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।’ এরশাদ বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে রয়েছি। আমাদেরকে তিনজনকে মন্ত্রিত্বও দেয়া হয়েছে। এ মন্ত্রিত্ব নেয়া আমাদের ঠিক হয়নি। মন্ত্রিত্ব নেয়ার পর দেশবাসীর কাছে আমাদের নানা সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। দেশের মানুষের কাছে আমাদের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তাই এমন মন্ত্রিত্ব আর চাই না। অচিরেই আমরা মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ‘আমরা অনেকদিন বিরোধী দলে থেকেছি। আর বিরোধী দলে থাকতে চাই না। আগামী নির্বাচন করব বিরোধী দলে থাকার জন্য নয়। সরকার গঠনের জন্য। আমাদের নেতাকর্মীরাও সে লক্ষ্য নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ আমাদের আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়।’ বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টি জোট করবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে জোট করার তো প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে আমি আর এখন কিছু বলতে চাই না। এ সময় দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিলের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এত দ্রুত কেন জামিন পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এরশাদ। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা জামিনযোগ্য হলেও তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো এরশাদের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। গত ২৫ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, ‘এর আগের একজন রাষ্ট্রপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পর তিনি জামিন পেয়েছেন। আরেকজন সরকারপ্রধান। তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন ছাড় দেয়া হবে?’। রাষ্ট্রপক্ষের এমন বিরোধিতার পর সেদিন জামিনের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে এই মামলার নথি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় জামিন শুনানি করা হাইকোর্ট বেঞ্চ। আগামী ৭ মার্চের মধ্যে এই নথি পাঠানোর নির্দেশ আছে। এরশাদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া কয়েকদিন কারাগারে থাকা অবস্থায় তার জামিন পাওয়া নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে। আমি ছয় বছর দুই মাস কারাগারে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল জামিন যোগ্য। তার পরেও আমি জামিন পাইনি।’ হাইকোর্ট আদেশ দেবার পরেও আমাকে সংসদে আসতে দেয়া হয়নি। পৃথিবীর কোন দেশেও কোন নেতাই আমার মতো নির্যাতন ভোগ করেনি। আমার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার কোন নজির নেই।’ আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারপরও সরকার চেষ্টা করছে, আমরাও মনে করি তাদের (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।’ এর আগে সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছলে এরশাদকে তার দলের নেতা কর্মীরা স্বাগত জানায়। এ সময় দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রংপুরে অবস্থানকালে শনিবার এরশাদ তিন তারা একটি হোটেল উদ্বোধন করবেন। এছাড়া পরদিন অত্যাধুনিক একটি ফিড মিলের উদ্বোধনের কথা রয়েছে তার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com